খনিজ সম্পদ

খনিজ সম্পদ – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “পরিবেশ অধ্যয়ন” বিষয়ের “প্রাকৃতিক সম্পদ” বিভাগের একটি পাঠ। ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে বাংলাদেশের ভূভাগের বেশিরভাগই বঙ্গীয় অববাহিকার (Bengal Basin) অন্তর্গত। দেশের উত্তর, উত্তরপূর্ব ও পূর্বাংশে এ অববাহিকা টারশিয়ারি যুগের ভাঁজযুক্ত পাললিক শিলাস্তর দ্বারা গঠিত (প্রায় ১২ ভাগ)। উত্তর-পশ্চিম, মধ্য-উত্তর ও মধ্য-পশ্চিমাংশে অববাহিকার প্রায় ৮ ভাগ প্লাইসটোসিন যুগে উত্থিত পলল এবং অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ ভূভাগ অসংহত বালি, পলি ও কর্দম দ্বারা গঠিত হলোসিন যুগের সঞ্চয়ন দ্বারা আবৃত।

খনিজ সম্পদ

 

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

 

বাংলাদেশে প্যালিওসিন মহাকালের তুরা স্তরসমষ্টিকে প্রচীনতম উন্মুক্ত শিলাস্তর হিসেবে শনাক্ত করা গিয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে খননকার্য পরিচালনাকালে প্রাচীনতর শিলাস্তর যেমন— মেসোজোয়িক ও প্যালিওজোয়িক স্তরসমষ্টি এবং প্রি-ক্যাম্ব্রিয়ান ভিত্তিস্তরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

ভূপৃষ্ঠে অথবা ভূগর্ভের কোনো স্থানে সঞ্চিত খনিজ সম্পদের অবস্থান মূলত সংশ্লিষ্ট স্থানের ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও সময়কাল দ্বারা নির্ণীত হয়ে থাকে। ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভূতাত্ত্বিক পরিবেশে সঞ্চিত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদসমূহ হচ্ছে : প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, নুড়িপাথর, গন্ডশিলা (Boulder), কাচবালি, নির্মাণকার্যে ব্যবহৃত বালু, চীনামাটি, ইটের মাটি, পিট এবং সৈকত বালি ভারী মণিক (Beach sand heavy minerals) I

দেশের অয়েল ও গ্যাস উইন্ডোর মধ্যে বিদ্যমান টারশিয়ারি বরাইল শিলাদল থেকে উৎপন্ন হেেছ প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল। উৎপন্ন হওয়ার পর এ প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল উপরের দিকে বহু কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত শিলাস্তর ভেদ করে উত্থিত হয়ে নিওজিন ভূবন ও বোকাবিল স্তরসমষ্টির মধ্যস্থিত সুবিধাজনক বেলেপাথর আধারে সঞ্চিত হয়। নুড়িপাথর, কাচবালি, নির্মাণ বালি, পিট ও সৈকত বালি প্রভৃতি খনিজ হলোসিন পললে পাওয়া যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র পাহাড়সমূহে বিদ্যমান প্লাইসটোসিন পললে পাওয়া যায় চীনামাটি বা কেওলিন।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের অল্প গভীরতায়ও চীনামাটি ও কাচবালির মজুত আবিষ্কৃত হয়েছে। সীমিত মাত্রার উত্তোলনের মাধ্যমে চুনাপাথর, নির্মাণ বালি, কাচবালি, নুড়িপাথর, চীনামাটি ও সৈকত বালি আহরণ করা হচ্ছে। অন্তর্ভূপৃষ্ঠীয় মজুদ থেকে চীনামাটি ও কাচবালি এখনও উত্তোলন করা হয় নি । তবে অন্তর্ভূপৃষ্ঠীয় কয়লা ও কঠিন শিলা উত্তোলনের কাজ এগিয়ে চলেছে।

 

তেল ও গ্যাস :

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত বিভিন্ন আকৃতির ২৯টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮টি গ্যাসক্ষেত্রে পরিমাপকৃত গ্যাসমজুতের পরিমাণ প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। অধিকাংশ গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের কন্ডেনসেটের উপস্থিতি অল্প বা অতি অল্প বিধায় এদেরকে শুষ্ক গ্যাস (Dry gas) বলা হয়।

অল্প কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কন্ডেনসেট পাওয়া যায় এবং এদেরকে ভেজা গ্যাস (Wet gas) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ ভেজা গ্যাসক্ষেত্রসমূহ হচ্ছে ঃ বিয়ানীবাজার (প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসে ১৬ ব্যারেল কন্ডেনসেট), জালালাবাদ (প্রিতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসে ১৫ ব্যারেল কন্ডেনসেট) এবং কৈলাশটিলা (প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসে ১৩ ব্যারেল কন্ডেনসেট)।

বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট বাণিজ্যিক জ্বালানির ৭০ ভাগই প্রাকৃতিক গ্যাসের দ্বারা মেটানো হচ্ছে এবং ভবিষ্যত জ্বালানি চাহিদার সিংহভাগ এ খাত থেকেই পূরণ হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বাধিক ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে, যার পরিমাণ মোট ব্যবহারের ৪৪ শতাংশ, যার মাধ্যমে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৬৮ শতাংশ পাওয়া যায়।

এর পরেই রয়েছে সার উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার, যার পরিমাণ মোট ব্যবহারের ২৮ শতাংশ এবং শিল্প, গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও অন্যান্য খাতে গ্যাসের ব্যবহার ২২ শতাংশ। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ১২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে বর্তমানে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে এবং দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ ৯০০ থেকে ৯৩০ মিলিয়ন ঘনফুট।

 

তৈলকূপ, হরিপুর, সিলেট :

দেশের একমাত্র খনিজ তেলক্ষত্রটি আবিষ্কৃত হয় ১৯৮৬ সালে সিলেটের হরিপুরে। এ তেলক্ষেত্রে তেলের মোট মজুতের পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ব্যারেল, যার মধ্যে উত্তোলনযোগ্য মজুতের পরিমাণ প্রায় ৬ মিলিয়ন ব্যারেল। ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি মাসে হরিপুর তেলক্ষেত্র থেকে তেল উৎপাদন শুরু হয়।

উৎপাদন শুরুর পরবর্তী সাড়ে ছয় বছরে এ তেলক্ষেত্র থেকে ০.৫৬ মিলিয়ন ব্যারেল খনিজ তেল উৎপাদন করা হয়। ১৯৯৪ সালের জুলাই মাস থেকে তেল উৎপাদন স্থগিত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞগণের মতে, হরিপুর তেলক্ষেত্রটিকে যথার্থভাবে মূল্যায়ন করা হয় নি এবং সঠিক উপায়ে মূল্যায়নকার্য পরিচালনার পর পূর্ণমাত্রায় তেল উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।

 

গ্যাসক্ষেত্র, ফেঞ্চুগঞ্জ :

কৈলাশটিলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে আরও দুটি তেলবাহী শিলাস্তরের সন্ধান পাওয়া গেলেও অর্থনৈতিকভাবে এ দুটি ক্ষেত্র থেকে তেল উৎপাদন লাভজনক হবে কি না সে বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ জরিপকার্য পরিচালনা করা হয় নি। সাম্প্রতিককালে দেশে একাধিক সংখ্যক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে। এ সকল কোম্পানির সঙ্গে পেট্রোবাংলার আওতাভুক্ত এবং দেশের একমাত্র তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স সফলভাবে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে।

 

কয়লা :

১৯৫৯ সালে ভূপৃষ্ঠের অত্যধিক গভীরতায় সর্বপ্রথম কয়লা আবিষ্কৃত হয়। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জি.এস.বি)-এর অব্যাহত প্রচেষ্টায় ৪টি কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ কোম্পানি বি.এইচ.পি-মিনারেলস আরও একটি কয়লাখনি আবিষ্কার করলে দেশে কয়লাখনির মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫টিতে। আবিষ্কৃত সকল কয়লাখনিই দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।

নিচের সারণিতে এ সকল কয়লাখনির বিস্তারিত তথ্য ও কয়লার গুণাগুণ উপস্থাপন করা হয়েছে । আবিষ্কৃত পাঁচটি কয়লাখনির মধ্যে অন্যতম বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উন্নয়নের কাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে এবং ২০০১ সালের মে মাসে তা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও খনির নকশাজনিত কিছু পরিবর্তন আনয়নের দরুন তা শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্তোলনযোগ্য মজুত ৬৪ মিলিয়ন টন এবং বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মিলিয়ন টন। উত্তোলিত কয়লা ব্যবহার করে ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র খনির অদূরে স্থাপনের পরিকল্পনা রযেছে ।

 

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

বি.এইচ.পি মিনারেলস নামক কোম্পানি ফুলবাড়ি কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে এ কয়লাখনির উন্নয়নের দায়িত্ব অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি এশিয়া এনার্জি কর্পোরেশন (এ.ই.সি)-এর কাছে অর্পণ করা হয়। এ.ই.সি বর্তমানে খনিটিকে একটি উন্মুক্ত কয়লাখনিতে (open-pit mine) রূপান্তর করার জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ কয়লাখনি থেকে প্রারম্ভিক পর্যায়ে বছরে ২.৯ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে ৯ মিলিয়ন টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করে প্রধানত ইটখোলা ও অন্যান্য শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত করা হচ্ছে।

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

 

চুনাপাথর :

১৯৬০-এর দশকের প্রথমভাগে দেশের উত্তর-পূর্বভাগে অবস্থিত টাকেরঘাট এলাকায় ইয়োসিনযুগীয় চুনাপাথরের একটি ক্ষুদ্র মজুত থেকে চুনাপাথর আহরণ করে তা একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে সরবরাহ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এটিই ছিল দেশের প্রথম খনি যেখান থেকে খনিজ সম্পদ আহরণ করা হয়। একই সময় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্ত ান (জি.এম.পি) জয়পুরহাট জেলায় ভূপৃষ্ঠের ৫১৫ থেকে ৫৪১ মিটার গভীরতায় ১০০ মিলিয়ন টন মজুতবিশিষ্ট চুনাপাথরের অন্য একটি খনি আবিষ্কার করে।

প্রতিষ্ঠানটি তুলনামূলকভাবে অল্প গভীরতায় চুনাপাথরের মজুত অনুসন্ধানের লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। জি.এস.পি-এর উত্তরসূরী প্রতিষ্ঠান জি.এস.বি ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে নওগাঁ জেলার জাহানপুর ও পরানগর এলাকায় যথাক্রমে ভূপৃষ্ঠের ৪৯৩ থেকে ৫০৮ মিটার ও ৫৩১ থেকে ৫৪৮ মিটার গভীরতায় চুনাপাথর আবিষ্কার করে। চুনাপাথরের এ মজুত দুটির পুরুত্ব যথাক্রমে ১৬.৭৬ মিটার এবং ১৪.৩২ মিটার।

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

 

কঠিন শিলা :

নির্মাণসামগ্রীর সংকটপূর্ণ এ দেশে রয়েছে প্রিক্যাম্ব্রিয়ান যুগীয় গ্রানোডায়োরাইট, কোয়াজ ডায়োরাইট, নিস প্রভৃতি কঠিন শিলার বিশাল মজুত। জি.এস.বি দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া নামক স্থানে ভূপৃষ্ঠের ১৩২ মিটার থেকে ১৬০ মিটার গভীরতায় এ সকল কঠিন শিলার মজুত আবিষ্কার করে।

এ শিলাসমূহের বিশুদ্ধ অবস্থায় আর.কিউ.ডি (Rock Quality Designation) ৬০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। উত্তর কোরিয়া সরকারের সহায়তায় এ খনির উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এ খনি থেকে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২০০২ সালে এবং বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১.৬৫ মিলিয়ন টন।

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

 

পিট :

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাভূমিতে পিটের সম্পৃক্ত করেছে। মোট মজুতের পরিমাণ ১৭ টনের বেশি। পিটের তাপোৎপাদক মান পাপ্রতি ৬০০০ থেকে ৭০০০ বিটিইউ। বাংলাদেশে কাজে, ইটের ভাটায়, বয়লারের জ্বালানি হিসেবে পিউ ব্যবহ র রণিতে পিউ মহতের দ হলো। অবশ্য দেশিয় মজুত থেকে পিটি উত্তোলন এখনও  শুরু হয় নি ।

খনিজ সম্পদ | প্রাকৃতিক সম্পদের ভূমিকা | পরিবেশ অধ্যয়ন

 

ধাতব খনিজঃ

খনিজ মজুদ অনুসন্ধান চালিয়ে জি.এস.বি বেশ কটি সম্ভাব্য ধাতব হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ নমুনা থেকে চ্যালকোপাইরাইট, বোনাইট, চ্যালকোসাইড, কোডেলা গ্যালেনা, কালাবাইটের মতো ধাতব খনিজ পাওয়া গেছে।

 

 নির্মাণকাজের বালি :

দেশের বিভিন্ন নদনদীর তলদেশে এ বালি পাওয়া যায়। প্রধানত মাঝারি থেকে মোটা দানাদার কোয়ার্টজ সমন্বয়ে এ বালি গঠিত। দালান, সেতু, রাস্তা ইত্যাদি নির্মাণে এ বালি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ।

 

নুড়িপাথর :

দেশের উত্তর সীমান্ত এলাকায় হিমালয়ের পাদদেশ বরারর মুক্তিপাথর পাওয়া যায়। উজান এলাকা থেকে এসব মুড়িপাথর নদী দ্বারা বাহিত হয়ে আসে। মুড়িপাথর মজুরের মোট পরিমাণ ১ কোটি কিউবিক মিটার। এ মজুত উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

গণ্ডশিলা :

বাংলাদেশের বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার গণ্ডশিলাসমূহ মূলত পাললিক শিলাজাত। অপরদিকে বৃহত্তর সিলেট জেলার জৈন্তাপুর ও ভোলাগঞ্জ এলাকার গণ্ডশিলাসমূহের উৎসশিলা হলো আগ্নেয় বা অশান্তর শিলা। এসব অঞ্চল ছাড়াও সংলগ্ন পর্বতমালা থেকে উৎসারিত অসংখ্য পাহাড়ি নদীর তলদেশে ও নদীর কাছাকাছি এলাকায়ও পরশিলা মঞ্জুর হয়।

সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এইসব পাহাড়ের অধিকাংশ অবস্থিত। টেকনাফের সমভূমি অঞ্চলের তিনটি স্থানে এবং উখিয়া উপজেলার ইনানীতে শিলা সঞ্চিত আছে। টেকনাফ-কক্সবাজার সমুদ্রতীরের ৭টি স্থ গণ্ডশিলার আলাদা আলাদা মজুত রয়েছে।

চীনামাটি ও বাংলাদেশে চীনামাটির উল্লেখযোগ্য মজুত রয়েছে। ভূপৃষ্ঠের উপরে বা ভূপৃষ্ঠের সামান্য নিচে নেত্রকোণা জেলার নিজপুর (২৫ জার টন), শেরপুর জেলার ভুরুংগা (১০ হাজার টন) ও চট্টগ্রাম জেল হাইটগার, কাপুর, এলাহাবাদ (১৮ হাজার টন) এবং ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়ায় (১ কোটি ৫০ লক্ষ টন) চীনামাটির মন আবিষ্কৃত হয়েছে। চীনামাটি বলতে মূলত কেয়োলিন কানা মণিক নিয়ে গঠিত সিরামিক শিল্পে ব্যবহার্য উন্নতমানের কানাকে বুঝানো হয়ে থাকে।

 

কাচবালিঃ

বাংলাদেশে কাচ-কাশির উল্লেখযোগ্য মজুত রয়েছে। স্বপৃষ্ঠের উপরে বা ভূপৃষ্ঠের সামান্য নিচে বালিজুরী (৪০ হাজার টন), শাহজিবাজার (১০ লক্ষ ৪০ হাজার টন) (২ লক্ষ ৮৫ হাজার টন এবং ভূপৃষ্ঠের কোটি ৭২ লক্ষ টন) ও বড়পুকুরিয়ার (৯ কোটি টন) কাচবালির মজুত আবিষ্কৃত হয়েছে।

কাচবালি হলুদ থেকে ধূসর এবং যুদ্ধ থেকে মাঝারি আকারের কোয়ার্টজ নিয়ে গঠিত। বাংলাদেশের উপকূলীয় বলয় উপকূলীয় উপকর বালির মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সৈকত বালিতে বিভিন্ন ধরনের ভারী মেরেছে, যেমন জিন (১.৫.১১৭ (০.২৭ ) ইলমেনাইট (১০,২৫,৫৫৮ টন), লিউক (১৬৭০৬ ) রানাইট (১০৭৫ টন) (২,২২, ) মানেই (৮০,৫১৬ টন) ও মোনাজাইট (১৭৩২) একটি কোম্পানি এ বালি উত্তোলনের লক্ষ্যে সাধ্যতা জরিপ চালানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছে।

 

google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

ইটের মাটি :

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার প্লাইসটোসিন হলোসিন দুর্ণীয় ইটের মাটির ি রাসায়নিক প্রকৌশলগত গুনা বহুল প্রমাণিত হলোসিন প্লাইসটোসিন এমনি রাসায়নিক ও প্রকৌশলগত গুণাগুণ উত্তম মানের ইট প্রস্তুতের জন্য সন্তযজনক ।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment