পরিবেশের আইনগত নিরাপত্তার ভূমিকা – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “পরিবেশের আইনগত নিরাপত্তা” বিষয়ের “পরিবেশ অধ্যয়ন” বিভাগের পাঠ। পুরো ইতিহাসজুড়েই পরিবেশের রক্ষার্থে ও মানুষের কল্যাণের জন্য নানা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়। সাধারণত, নুইসেন্স আইনে সুরক্ষার উল্লেখ ছিল, কিন্তু এই আইন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পদ বা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল।
পরিবেশের আইনগত নিরাপত্তার ভূমিকা
পৃথিবী সৌরজগতের একটি অন্যতম গ্রহ। ধারণা করা হয়, জীবের উৎপত্তি, বৃদ্ধি এবং বংশবৃদ্ধির অর্থাৎ জীব প্রতিপালনের অনুকূল পরিবেশ কেবলমাত্র এই গ্রহেই রয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে আমাদের এই প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ও সামগ্রিক অবস্থা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু তার মৌল উপাদান যেমন- মাটি, পানি ও বায়ুর সাথে মিশে আছে বিশাল জীবজগৎ (উদ্ভিদ ও প্রাণী)।
এগুলো পরিবর্তিত অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে আমাদের এই প্রিয় বসুন্ধরায়। মাটি, পানি, বায়ুদূষণ ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যহীনতার হাত থেকে পরিবেশ রক্ষার জন্য বিভিন্ন আইনকানুন রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব আইন ও বিধিমালার কিছু কিছু সংশোধন ছাড়াও আইনগুলো প্রয়োগের সুবিধার্থে জারি হয়েছে কিছু প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, ঘোষণা, পরিপত্র, বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি ।
বাংলাদেশে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো তদারকির জন্য ১৯৮৯ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। ১৯৯২ সালে জাতীয় পরিবেশ নীতি প্রণীত হয় এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ বিধিবদ্ধ করার মাধ্যমে পুরনো আইন সংশোধন করা হয়। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে অদ্যাবধি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পরিবেশ সম্পর্কিত প্রায় ১৮৫টি আইন রয়েছে।
বায়ুমান আইন বায়ু দূষক পদার্থকে পরিবেশে ত্যাগ করতে নিয়ন্ত্রণ করে। বায়ুমান আইনের বিশেষ শাখা দালানের ভেতর বায়ুর মানকে নিয়ন্ত্রণ করে। বায়ুমান আইন সাধারণত গঠন করা হয়েছে দূষক পদার্থ বায়ু থেকে সরিয়ে ফেলল মানুষের স্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য। অন্যান্য লক্ষ্য হলো পরিবেশের নানা সমস্যা সমাধান করা, যেমন যেসকল রাসায়নিক ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে সেগুলোর ব্যবহার কমিয়ে দেয়া। তাছাড়া, এটির অবদানের মাঝে রয়েছে বায়ু দূষক পদার্থকে চিহ্নিত করা ও তাদেরকে শ্রেণিবিন্যাস করা।
আরও দেখুনঃ