এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল -অডিটিং এর সংজ্ঞা – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “পরিবেশের আইনগত নিরাপত্তা” বিষয়ের “পরিবেশ অধ্যয়ন” বিভাগের পাঠ।
এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট এবং এনভায়রনমেন্টাল- অডিটিং এর সংজ্ঞা
(ক) এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট এসেসমেন্ট (EIA) বা পরিবেশ প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন :
মানুষ কখনো সচেতনভাবে আবার কখনো সামাজিক, অর্থনৈতিক, এমনকি রাজনৈতিক স্বার্থে পারিপার্শ্বিকতার কথা চিন্তা না করেই পরিবেশ ভারসাম্য বিনষ্টের কাজে জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মতোই সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশেরও পরিবেশ ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।
পরিবেশ সচেতনতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো পাশ্চাত্য থেকেই আমাদের দেশে এসেছে। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাতে ও দাতাগোষ্ঠীর মাধ্যমে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন করার জন্য .ই.আই.এ করা হয় । মূলত ই.আই.এ হচ্ছে এমন একটি পরিকল্পিত কর্মকাণ্ড, যা কোনো প্রস্তাবনা, নীতিমালা, কর্মসূচি, প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যগত ও জীবতাত্ত্বিক পরিবেশের উপর কী কী প্রভাব পড়বে তা নির্ণীত ও চিহ্নিত করে।
পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মূল হাতিয়ার হলো (EIA)। অনেক গবেষণার দ্বারা অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো নতুন কর্মসূচিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এবং সেই কাজের দ্বারা পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয় এই দিক বিবেচনা করে কানাডাতে 1973 সালে EIA শুরু হয়। বর্তমানে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডে, ভারত, থাইল্যান্ডে ও বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে EIA করা হয় ।
(খ) এনভায়রনমেন্টাল -অডিটিং (Environmental auditing, EA) :
এনভায়রনমেন্টাল -অডিটিং একটি সাধারণ বিষয়, যা পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়কে মূল্যায়ন করে। যেমন— কোনো প্রতিষ্ঠান বা এলাকার পরিবেশ অনুবর্তিতা (Environmental compliance) এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় (Environmental management)-এ ধরনের ত্রুটি (Gap) আছে কী তা খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সংশোধন সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়াই এনভায়রনমেন্টাল-অডিটিং এর মূল উদ্দেশ্য। এনভায়রনমেন্টাল -অডিটিং অর্থনৈতিক অডিট এর মতোই কাজ করে। সাধারণত দুই ধরনের এনভায়রনমেন্টাল অডিট হয়, যথা—
১। অনুবর্তিতা অডিট (Compliance audit)
২। ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অডিট (Management system audit)।
আরও দেখুনঃ