দূষণ রোধে আমাদের করণীয় ,পরিবেশ দূষণ, বাস্তুসংস্থানগত ক্ষয় এবং সম্পদ হ্রাস প্রভৃতি পরিবেশ সম্পর্কিত সমস্যার হ্রাস বা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ (বা পন্থা) আমরা গ্রহণ করিতে পারি :
দূষণ রোধে আমাদের করণীয় | পরিবেশের আইনগত নিরাপত্তা | পরিবেশ অধ্যয়ন
প্রাকৃতিক পরিবেশের যে সম্পূর্ণতার উপর আমরা বেঁচে আছি তার সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য পরিবেশ ধ্বংসকারী ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি । উদাহরণ—গ্রিনহাউস গ্যাস এবং বায়ুদূষণকারী অন্যান্য গ্যাসের উৎস ‘জীবাশ্ম জ্বালানির’ ব্যবহার হ্রাস করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি-উৎস ব্যবহার করতে পারি ।
অরণ্য ধ্বংস, কৃষিযোগ্য জমির ক্ষয় এবং জীব-প্রজাতির (উদ্ভিদ এবং প্রাণী) বিলুপ্তি হ্রাস করতে পারি । মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত অত্যাবশক সাধারণ সম্পদগুলোর (Common Resources) সদ্ব্যবহার করতে পারি, বিশেষ করে শক্তির উৎস সম্পদ (কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস), জল এবং অন্যান্য মৌল সম্পদ। আমরা সম্পদের সংরক্ষণ এবং পুনরাবর্তন করতে পারি ।
ইউনাইটেড নেশনস্ এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবার-পরিকল্পনা এবং বিয়ের বয়স বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে পারি। লিঙ্গ-বৈষম্যের অবসান এবং মহিলাদের নিজস্ব জনন-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারি ।
উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব হ্রাস করে দারিদ্র্য দূরীকরণ (বা হ্রাস) করতে পারি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সম্পদ ব্যবহারের মধ্যে একটা সুষম ভারসাম্য আনতে পারি । উন্নয়নশীল দেশের মানুষকে পরিবেশ এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করার জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত ‘পরিবেশ-শিক্ষার’ উপর গুরুত্ব আরোপ করতে পারি ।

প্রতিরক্ষা-ব্যয় হ্রাস করে উদ্বৃত্ত অর্থ দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং শিক্ষার প্রসারে ব্যবহার করতে পারি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিরক্ষা বরাদ্দ প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার । এই বিপুল অর্থের বেশিরভাগ যদি উন্নয়নশীল এবং তৃতীয় বিশ্বের উন্নতির জন্য ব্যয় করা হয় তাহলে সমগ্র বিশ্বের চেহারাটাই বদলে যাবে। অথচ আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের আর্থসামাজিক ক্রিয়াকলাপের ফলে সৃষ্ট দূষণজনিত প্রভাবের ভাগীদার এই তৃতীয় বিশ্ব। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 5 শতাংশ আমেরিকার কিন্তু বিশ্বের মোট শক্তি-সম্পদের 25 শতাংশ ভোগ করে আমেরিকা। বিপরীতক্রমে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার 16 শতাংশ ভারতের, কিন্তু বিশ্বের মোট ব্যবহৃত শক্তির 3 শতাংশ ভোগ করে ভারত।
আরও দেখুনঃ